খালেদা জিয়া গ্রেফতার হতে পারেন কিন্তু জেলে যাবেন তা কেউ ভাবেননি। এমনকি বিএনপি নেতৃবৃন্দও। এ ধারণার উৎপত্তি, তিনি একজন জেনারেলের স্ত্রী, বাংলাদেশের সবাই অভিযুক্ত হতে পারেন কিন্তু কোনো জেনারেলকে অভিযুক্ত করা যাবে না। ২০০৬/২০০৮ সালে যেসব জেনারেলরা অন্যায় করেছেন, নির্যাতন করেছেন, ধনী হয়েছেন তাদের বিচার দূরের কথা, শোনা যায় আওয়ামী আমলেও তারা লাভবান হয়েছেন। ঐ জেনারেলরা ছিচঁকে ব্যবসায়ী থেকে অধ্যাপক, সাধারণ মানুষ থেকে শেখ হাসিনা/ খালেদা জিয়া এমন কেউ নেই, যাকে অপদস্থ করেননি। এদিক থেকে পাকিস্তান ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের মিল আছে। আইনের বাইরে বিচারকরাও নয় কি? একটি উদহারণ দিই। তত্ত্বাবধায়ক জেনারেলদের আমলে যে সব ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা জেনে শুনে অন্যায় দন্ড দিয়েছেন, তাদের উর্দ্ধতন আদালত বা সরকার দন্ড দেয়া দূরের কথা, তিরস্কারও করেন নি। প্রাক্তন বিচারপতি সিনহার কথা ধরা যাক। অন্যায় দন্ড দিয়েছেন, বিনাশ্রমে অর্জিত অর্থ পাওয়া গিয়েছে তার অ্যাকাউন্টে। কিছুই হয়নি। সেটি যদি আমার হতো– রাজনীতিবিদ থেকে সাংবাদিক সবাই আমাকে গ্রেফতারের আবেদন জানাতেন। বিচারপতি এথিকস ভঙ্গ করার পরও রাজনীতিবিদ/ বিচারক/ সাংবাদিকরা কেউ কিছু বলেন নি। বাংলাদেশের দীর্ঘ ত্রিশ বছর এভাবে জেনারেল ও জাজেস’রা শাসন করেছেন। রাজনীতিবিদরা কাগজে কলমে বক্তৃতায় দেশ শাসন করেছেন বটে কিন্তু তাদের ভয়ে তটস্থ থেকেছেন, তোয়াজে তোয়াজে সিক্ত করেছেন। আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের জোটও এ ধারা থেকে মুক্ত নয়।
তা খালেদা একজন ডাকসাইটে জেনারেলের বউ, হোক না সে জেনারেল ক্ষমতাদখলকারি। তিনি যতবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ততবার দেশের না হলেও অন্যায়ের উন্নয়ন হয়েছে, দেশের তন্তু ছিন্ন ভিন্ন করেছেন, যারা এদেশ সৃষ্টি করেছেন তাদের বিদ্রুপ তাচ্ছিল্য অপমান করেছেন, তার পুত্রদ্বয় অনার্জিত অর্থ আহরণ করেছেন টন কি টন। সবসময়ই তাকে সহ্য করা হয়েছে, সিভিলিয়ানদের স্ত্রী হিসেবে সে ছাড় পাননি শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় প্রাসঙ্গিক। অনেকের ধারণা, এদেশে আওয়ামী লীগের সমর্থক বেশি। আমার ব্যক্তিগত মত, সেটি পুরোপুরি ঠিক নয়। এদেশে প্রতিক্রিয়াশীলদের সমর্থন বেশি, তিনি লুঙ্গি, পাজামা বা প্যান্ট যাই পড়ুন না কেন। আওয়ামী লীগ এখন মধ্য ডানের দল তারপরও সমর্থক বেশি ডান বা প্রতিক্রিয়ার, খালেদা জিয়া যার প্রতিভূ। যে কারণে, দেশে সমস্ত অপকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার, খালেদা জিয়ার নয়। তা’হলে প্রশ্ন জাগে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো কী ভাবে? প্রতিক্রিয়াশীলরা যখন সব কূল হারায় এবং যারা দোদুল্যমান [যাদের ভোট ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে] এবং প্রতিক্রিয়ার সমর্থক তারা কোনো উপায় না থাকলে আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের মনের গড়ন এমনই যাকে আমরা চলতি ভাষায় ‘মাইন্ড সেট’ বলি। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও পরস্পর বিরোধিতা ও নৈরাজ্য বেশি। সেই ‘মাইন্ড সেটে’ প্রবল অভিঘাত হেনেছে খালেদা জিয়ার বিচার ও জেল। আমাদের দেশের ৭০/৮০ বছরের ঐতিহ্য ক্ষমতায় থাকলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার, বিচার ও জেল। পাকিস্তান আমলে মওলানা ভাসানী, মনি সিং, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবাইকে একই প্রক্রিয়ায় যেতে হয়েছে। পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে এরা নির্দোষ। কিন্তু, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ আমলে এই ক্যাটাগরিতে আসবেন প্রথমে এইচ.এম. এরশাদ ও তারপর খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার মামলা যখন শুরু হয়, তখন অনেকের মতো আমিও বিভ্রান্ত ছিলাম–আসলে কী ঘটেছিল? এটি কি কার্যক্ষেত্রের ভুল? এটি কি ক্ষমতার অপব্যবহার? এটি কি সরকারের দুরভিসন্ধি? রায় বেরুবার পর ‘প্রথম আলোর’ প্রতিবেদন পড়ে বিষয়টি পরিস্কার হলো। এই একটি মুদ্রিত পত্রিকায়-ই অভিযোগটি স্পস্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। অন্য পত্রিকাগুলি তা পারেনি। সাংবাদিকতার মান কোথায় পৌঁছেছে! ‘প্রথম আলো’ সরকার বিরোধী ও বতর্মান সরকার বিরোধীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে সাধারণ্যে পরিচিত কিন্তু তারপরও খালেদার বিষয়ে মামলাটি স্পষ্ট করতে পেরেছিল। এতে প্রমাণিত হয় জেনারেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার স্বামীর জুনিয়র কলিগরা যে অভিযোগ এনেছিলেন তা মিথ্যা ছিল না। শেখ হাসিনাকে ‘অভিযুক্ত’ করা যেতে পারে এ বলে যে, মামলটি তিনি প্রত্যাহার করেন নি।
খালেদার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি প্রমাণিত তার সারাৎসার হলো–তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন এবং অপব্যবহারের মাধ্যমে যা করেছিলেন তা দু’র্নীতি। ক্ষমতার অপব্যবহারের সময় হয়তো তার মনে এই ধারণাই কাজ করেছিল, জেনারেলের স্ত্রী হিসেবে আগেও তাকে কেউ কিছু বলতে পারেনি, এখনও পারবে না। কিন্তু এ দুনিয়ায় কখন যে কি ঘটে তা কেউ-ই বলতে পারবে না।
মামলার শেষ পর্যায়ে খালেদা জিয়া অনুমান করেছিলেন তিনি অভিযুক্ত হবেন, বিএনপি নেতাদেরও অনুমান ছিল তা, কিন্তু এ ধারণাও ছিল, অভিযুক্ত হলেও তেমন শাস্তি হবে না, হলেও তৎক্ষণাৎ জামিন পাবেন। এখানে ঝামেলা!
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, মামলাটি দ্রুত শেষ করা হয়েছে। নয় বছর ধরে মামলা চলার পর যদি কেউ বলে মামলা দ্রুত শেষ করা হয়েছে এ ধরনের উক্তি ফেরেববাজরা করেছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা টাউট বা ফেরেববাজ হবেন কেন? তারা বলতে পারতেন, মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন আছে।
আওয়ামী নেতারা তখন বলেছেন, বিএনপির আইনজীবীরা মামলা পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। এটিকে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা বলে মনে হয়েছে। কিন্তু এখন যখন দেখলাম, তারা আওয়ামী বিরোধী এককালের আওয়ামী নেতা ড. কামাল হোসেন ও লন্ডনের লর্ড আলেকজান্ডার চার্লস কার্লাইলকে খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক নিয়োগ করেছেন এবং খালেদা জিয়া মওদুদকে তার মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তখন আওয়ামী নেতাদের যুক্তি এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা পেলো। বিএনপির নেতারা এ মামলা নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করেননি অথবা আইনি ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট দক্ষ নন। না’হলে ড. কামাল হোসেন ও লর্ড কার্লাইল-কে নিয়োগ কেন দেয়া হবে?
বিএনপি খালেদা জিয়ার জন্য যে কাউকে আইনি পরামর্শক নিয়োগ করতে পারেন, সেটি তাদের মৌলিক অধিকার। আগরতলা মামলার সময় আওয়ামী সমর্থকরা লন্ডনের আইনজীবীকে পরামর্শক নিয়োগ করেছিলেন। তবে, এরা কেউ মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না, যেহেতু বাংলাদেশে আইন ব্যবসা করার লাইসেন্স তাদের নেই। ড. কামাল-কে বিএনপি আগেই নিয়োগ করতে পারতো। নিয়োগ করতে না দেয়ার কারণ হয়তো মওদুদ আহমেদ সহ অন্যান্যরা ভেবেছিলেন, এতে তাদের প্রাধান্য থাকবে না, সংবাদপত্রে স্থান থাকবে না। আর খালেদার এই মামলা তো ‘পলিটিক্যাল’ মামলা, চলবেই। তাদের সব ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
<h3>অতএব দুই ‘ক’ অর্থাৎ ড. কামাল ও লর্ড কার্লাইল</h3>
লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগ দিয়ে বিএনপি আমাদের মস্তো উপকার করেছে। এতে বাংলাদেশে মূল ইস্যু [এখনও] মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্কার হয়েছে।
আমি এবং আমরা কয়েক বছর ধরে একটি কথা বলে এসেছি যে, বিএনপি-জামায়াত সমর্থক । কিন্তু আওয়ামী বা জোট বিরোধী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও এলিটরা সেটা মানতে পারেন নি বা মানতে চান না। জামায়াত-কে এখন প্রকাশ্যে কেউ সমর্থন করতে চান না, এমনকী জামায়াতীরাও। জামায়াত এখন একটি দুর্গন্ধের নাম, পচনশীল দ্রব্যের নাম। বরং জামায়াত বিরোধিতা ক্রেডেবিলিটি দেয়। কিন্তু এরা বিএনপিকে জামায়াতের সমর্থক মানতে নারাজ। তারা শেখ হাসিনাকে নিতান্তই অপছন্দ করেন, তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে ল্যাঙ্গট পরে ঘুরে বেড়ালেও তারা মনে করেন তারা ধর্ম মানেন এবং খালেদা জিয়াকে ধর্মের রক্ষক মানেন। শেখ হাসিনাকে হিন্দু-ঘেঁষা মনে করে তারা সান্তনা পান। পাকিস্তান ও সামরিক শাসনকে তারা ভালোবাসেন। শেখ হাসিনা এর বিরোধী দেখে শেখ হাসিনা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নন। গত নির্বাচনকে তারা নির্বাচন মনে করেন না যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু বিএনপি যে ভায়োলেন্স চালিয়েছে সে সম্পর্কে তারা নিশ্চুপ। তাদের মত, বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্বাচন সহি হবে। নিজামীদের মতো আল বদরদের যে বিএনপি ক্ষমতায় এনে পাকিস্তানবাদকে সমর্থন করেছে এ বিষয়ে এদের কেউ কখনো কিছু বলেন নি। যুদ্ধাপরাধ মামলা তারা সমর্থন করেন নি। তারা মনে করেন বিএনপি বাংলাদেশের একটি গণতান্ত্রিক দল এবং জামায়াতকে সঙ্গে রাখা রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। এভাবে সমাজের একটি অংশ বিএনপিকে সমর্থনের মাধ্যমে পাকিস্তানবাদকে সূক্ষ্মভাবে সমর্থন করে। তাদের আরেকটি যুক্তি, বিএনপি জামায়াত দু’টি রাজনৈতিক দল। বিএনপি-জামায়াতের কাজ করে না।
লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগ দিয়ে বিএনপি তাদের সমর্থক সম্পাদক, সাংবাদিক, কলাম লেখক, পদাধিকার বলে বুদ্ধিজীবী ও এলিটদের বিপদে ফেলল। কারণ লর্ড কার্লাইল জামায়াতের ব্রিফধারী বলে বিশ্বে পরিচিত। কার্লাইল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু ঐ সময়ের সংবাদপত্র সমূহের প্রতিবেদনগুলিতে স্পষ্ট যে, তিনি ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে বলেছেন, অভিযুক্তদের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপির এত ব্যারিস্টার থাকতে তাকেই কেন বেছে নিল? এর কারণ, মানবতাবিরোধীদের প্রতি তার সহানুভূতি। জামায়াতের প্রতি তথা পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি। আর তাকে যদি অর্থ যোগাতে হয় তা’হলে যোগাবেন জামায়াত সমর্থকরা।
আরেকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। সরকার স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। তৈমুর খন্দকার বিএনপির একজন নেতা, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এ নির্দেশের জন্য যে, এ আইন মাদ্রাসার প্রতি প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ মাদ্রাসার ছাত্ররা জাতীয় সংগীত গাইবে না। মাদ্রাসা কি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে? জাতীয় সংগীত কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কারো ক্ষেত্রে নয় এমন উক্তি নেহাৎ উন্মাদ বা দেশকে অপছন্দ করে এমন ব্যক্তি ছাড়া কে করতে পারে! অর্থাৎ এদেশের জন্য ত্রিশ লক্ষ শহীদ হয়েছেন এটি সত্য নয়, যুদ্ধাপরাধের বিচার করা উচিত নয়, জাতীয় সংগীত সবার জন্য নয়–এগুলি পাকিস্তানি মানসিকতা।
এ প্রসঙ্গে দেশের রাজনীতির কথা আসতে পারে। বিএনপিকে যথাযথভাবে রাজনীতি করতে দিতে হবে, বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হবে না–এগুলি শুধু বিএনপি বলছে তাই নয়, দেশের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ এবং অনেক সুশীল নাগরিকও নানাভাবে এ প্রশ্ন করেছেন। বিষয়টি উল্টোভাবে দেখুন। ভারতে কি পাকিস্তানি আদর্শের, যুক্তরাষ্ট্রে কি চীনের আদর্শের, চীনে কি ভারতের রাজনীতি করতে কাউকে দেয়া হবে? হবে না। কিন্তু, বাংলাদেশে পাকিস্তানি আদর্শের রাজনীতি করতে দিতে হবে–এটি কি ধরনের যুক্তি? স্বাধীন দেশে কেন পরাজিতদের রাজনীতি করতে দেয়া হবে? এ প্রশ্ন কিন্তু কেউ তুলছেন না। বরং গণতন্ত্রের কথা তোলা হচ্ছে। তা’হলে তো ইউরোপে নাৎসী, ফ্যাসী ও ফ্যালানজিস্টদের রাজনীতি করতে দেয়া হতো গণতন্ত্রের স্বার্থে। সেখানে এসব রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এ নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না। ইউরোপে তো কেউ ফ্যাসিস্টদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন না।
আসলে এদেশে যতদিন স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের মতাদর্শ ধারণাকারীদের রাজনীতি করতে দেয়া হবে ততদিন এখানে দ্বন্দ্ব সংঘাত থাকবে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমাদের প্রাথমিক লড়াইটা এখনও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, পাকিস্তান পক্ষের মতাদর্শের বিরুদ্ধে। সেই দ্বন্দ্বের সমাপ্তি না হলে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আসতে পারে না। গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা আনতে গেলে প্রথমেই নিরসন করতে হবে সেই দ্বন্দ্বের অর্থাৎ এ দেশে এরা রাজনীতি করতে পারবে না। বিএনপি জামায়াতের মতো পাকিস্তান মহব্বত থাকবে এবং তা প্রতিরোধ করতে গেলে মানবাধিকার-গণতন্ত্রের প্রশ্ন আসবে তা চলতে পারে না। যারা অন্তর্ভুক্তমূলক নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধ করাকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে মনে করেন তাদের এ প্রশ্নের জবাব আগে দিতে হবে।
Add Comment